
বাঁশখালী সংলাপ:: বাঁশখালী জেনারেল হসপিটাল লিমিটেডের উদ্যোগে শুক্রবার বাঁশখালী উপজেলার ইউনিয়ন ভিত্তিক কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত প্রায় ৬০ জন ক্লিনিক প্রধানদের নিয়ে ‘ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া রোগ প্রতিরোধে সচেতনতা ও করণীয়’ বিষয়ক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন হাসপাতালের ব্যবস্থাপক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম। উক্ত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বাঁশখালী জেনারেল হসপিটাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ প্রেজেন্টেশন প্রদান করেন বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মুমিনুল হক। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের ডিরেক্টর অব অফিস সৈয়দ মুর্তাজা আলী, ডিরেক্টর অব মার্কেটিং আ.ন.ম. মহিউদ্দিন, ডা. হামিদা আকতার, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মোস্তাফিজুর রহমান, ডা. শান্তা আযাদ মুনমুন, বীকন ফার্মাসিউটিক্যালসের আরএসএম মুহাম্মাদ শাহ আলম এবং কমিউনিটি ক্লিনিকের দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ।
উক্ত অনুষ্ঠানে সিভিল সার্জন হাসপাতালের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে ডেঙ্গু এবং চিকনগুনিয়া রোগের চিকিৎসা বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ প্রদান করেন। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের সচেতনতামূলক সেমিনার ও কার্যক্রমগুলো কমিউনিটি স্বাস্থ্য সেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।’
বাঁশখালী জেনারেল হসপিটাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমরা গ্রামীণ জনগণের জন্য আধুনিক এবং উন্নতমানের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ৫০০এমএ এক্সরে মেশিন, ৪ডি কালার ডপলার আল্ট্রাসাউন্ড এবং ব্র্যান্ডেড মেশিন ব্যবহার করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা দিনরাত সেবা প্রদান করছেন। আমরা চাই শহরের মতো উন্নত চিকিৎসা সেবা গ্রামে পৌঁছাক, এবং সেটা আমরা আমাদের হাসপাতালে সুনির্দিষ্ট এবং নির্ভুলভাবে নিশ্চিত করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো গ্রামে বসবাসরত অসহায় ও গরীব মানুষের সঠিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করা এবং দেশের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করা।’
উল্লেখযোগ্য যে, বাঁশখালী জেনারেল হসপিটাল লিমিটেডে আধুনিক চিকিৎসা যন্ত্রপাতি এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মাধ্যমে উচ্চমানের স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা হচ্ছে, যা অল্প দামে রোগীদের জন্য সাশ্রয়ী ও বিশ্বস্ত সেবা নিশ্চিত করে।
অনুষ্ঠানের শেষে, সকল বক্তা ও অংশগ্রহণকারীকে ধন্যবাদ জানানো হয় এবং ভবিষ্যতে আরও সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনার আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।