শিব্বির আহমদ রানা: চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার রায়ছটা প্রেমাশিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামকে “গুণী শিক্ষক” হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে।
বিশ্ব শিক্ষক দিবস–২৫ উদযাপন উপলক্ষে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলা পর্যায়ে যাচাই–বাছাই শেষে এ সম্মাননা তালিকা প্রকাশ করা হয়। বাঁশখালী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের প্রেরিত তালিকায় মাধ্যমিকে স্কুল পর্যায়ের গুণী শিক্ষক হিসেবে রফিকুল ইসলামের নাম স্থান পেয়েছে।
শিক্ষা ক্ষেত্রে তাঁর দীর্ঘদিনের আন্তরিক প্রচেষ্টা, মানসম্মত পাঠদান, শিক্ষার্থীদের নৈতিক উন্নয়ন এবং বিদ্যালয়ের সার্বিক অগ্রগতিতে বিশেষ অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ এ সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।
রফিকুল ইসলাম বর্তমানে রায়ছটা প্রেমাশিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। শিক্ষকতা জীবনের শুরু ২০০৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর কাথরিয়া বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয়ে সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে। সেখানে দীর্ঘ ১০ বছর সফলভাবে দায়িত্ব পালন শেষে ২০১৪ সালের মার্চ মাসে তিনি যোগ দেন বাহারচরা রত্নপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে। সাড়ে পাঁচ বছরেরও বেশি সময় দায়িত্ব পালনের পর ২০১৯ সালের ২ সেপ্টেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত রায়ছটা প্রেমাশিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন।
শিক্ষা ও সমাজকল্যাণে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি পেয়েছেন একাধিক জাতীয় সম্মাননা ও পুরস্কার। এর মধ্যে রয়েছে— মাদার তেরেসা গোল্ডেন অ্যাওয়ার্ড (২০২১), নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু পিস অ্যাওয়ার্ড (২০২৩), নবাব স্যার সলিমুল্লাহ গোল্ডেন পিস অ্যাওয়ার্ড (২০২৪), মহান বিজয় দিবস গোল্ডেন পিস অ্যাওয়ার্ড (২০২৪), অমর একুশে গোল্ডেন পিস অ্যাওয়ার্ড (২০২৫)।
এছাড়াও শিক্ষা বিস্তার, মানবকল্যাণ ও সমাজসেবায় তাঁর ধারাবাহিক অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও মানবাধিকার সংগঠন তাঁকে সনদপত্র ও সম্মাননা প্রদান করেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার এয়ার মোহাম্মদ বলেন, “শিক্ষক রফিকুল ইসলাম’র এ অর্জন বাঁশখালীর শিক্ষাঙ্গনের জন্য গর্বের বিষয়। তিনি শুধু একজন দক্ষ শিক্ষকই নন, বরং শিক্ষার্থীদের চরিত্র গঠন ও সমাজকল্যাণে তাঁর অবদান অনুকরণীয়। গুণী শিক্ষক হিসেবে তাঁর এই স্বীকৃতি অন্য শিক্ষকদেরও প্রেরণা জোগাবে।”
স্থানীয় শিক্ষক সমাজ ও অভিভাবকরাও রফিকুল ইসলামের এ অর্জনে গভীর আনন্দ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা মনে করেন, এই সম্মাননা তাঁর কর্মপ্রেরণা আরও বাড়িয়ে দেবে এবং শিক্ষার্থীদের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।