
নিজস্ব প্রতিবেদক::: চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারা ইউনিয়নের পূর্ব বড়ঘোনা ৭ নম্বর ওয়ার্ডে সরকারি বেড়িবাঁধ কেটে অবৈধভাবে নাসি বসিয়ে দীর্ঘদিন ধরে লবণাক্ত পানি প্রবেশ করানোর অভিযোগ উঠেছে। এতে কৃষিজমি, বসতভিটা ও পানির উৎস মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
ভুক্তভোগী এলাকাবাসী জানান, বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন জলকদর খালের তীরবর্তী এলাকায় তারা দীর্ঘদিন ধরে বসবাস ও কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। উক্ত ওয়ার্ডে আগে থেকেই সরকারিভাবে একটি স্লুইসগেট স্থাপন থাকায় পানিনিষ্কাশনে কোনো সমস্যা নেই। অথচ এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি নিজেদের স্বার্থে সরকারি অনুমতি ছাড়াই বেড়িবাঁধ কেটে নতুন নাসি বসিয়ে লবণাক্ত পানি প্রবেশ করাচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এর ফলে কাঁচা ও পাকা ধান নষ্ট হয়ে কৃষকরা অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। পাশাপাশি বসতবাড়ির ব্যবহৃত পুকুরে লবণাক্ত পানি ঢুকে তা ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে গাছপালারও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অবৈধ নাসির কারণে বর্ষায় বেড়িবাঁধে ভাঙনের আশঙ্কাও করছেন বলেও জানান তারা।
এলাকাবাসীর আশঙ্কা, দ্রুত অবৈধ নাসি উচ্ছেদ না করা হলে বেড়িবাঁধ ভেঙে হাজার হাজার পরিবারের বসতঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে।
এ প্রেক্ষিতে গত ৪ ডিসেম্বর এলাকাবাসীর পক্ষে আমিন, মরতুজ আলী, রুবেল ও শাহজাহানসহ গ্রামের অর্ধশতাধিক মানুষের স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর দাখিল করা হয়। তবে অভিযোগ দেওয়ার পরও এখন পর্যন্ত কোনো তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়নি বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জামশেদুল আলম বলেন, ‘স্থানীয়রা এ বিষয়ে আমার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে খতিয়ে দেখা হবে।’
এলাকাবাসী দ্রুত প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ ও অবৈধ নাসি উচ্ছেদের মাধ্যমে কৃষি, পরিবেশ ও জনজীবন রক্ষার দাবি জানিয়েছেন।