সংলাপ ডেস্ক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্যানেল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাওয়া লিবারেল নারী শিক্ষার্থী জুমাকে নিয়ে অশালীন ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য করেছেন বিএনপি সমর্থিত চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনের সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী লেয়াকত আলী।
তিনি নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে ছড়া আকারে লেখা একটি পোস্টে জুমাকে ‘নর্তকী’ বলে উল্লেখ করেন। তার এই বক্তব্য মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
বিশিষ্টজনদের মতে, সম্ভাব্য আইন প্রণেতা হিসেবে দায়িত্বশীল অবস্থান নেওয়ার বদলে নারী প্রার্থীর প্রতি এ ধরনের অবমাননাকর শব্দ প্রয়োগ কেবল নিন্দনীয় নয়, বরং নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ‘নর্তকী’ হিসেবে আখ্যা দেওয়া নারীর মর্যাদা ও সম্মানের ওপর আঘাত হানার সামিল।
নেটিজেনরা বলছেন, ডাকসুর মতো গণতান্ত্রিক নির্বাচনে নারী প্রার্থীর অংশগ্রহণকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখার পরিবর্তে তাকে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করা মানে রাজনীতিতে নারীদের পথ আরও কঠিন করে তোলা।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া প্রতিক্রিয়াগুলোতে স্পষ্ট, নারী প্রার্থীকে হেয় করার এই মানসিকতা জনমনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, রাজনীতির ময়দানে প্রতিপক্ষকে সমালোচনা করা যেতে পারে, কিন্তু সেটা যেন কখনোই ব্যক্তিগত আক্রমণ বা লিঙ্গভিত্তিক অপমানের পর্যায়ে না যায়।