বাঁশখালী সংলাপ: চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার শীলকূপ ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালতের কার্যক্রমে ন্যায়বিচার পেয়ে খুশি সাধারণ জনগণ। মাত্র ২০ টাকায় মামলা পরিচালনার সুযোগ থাকায় স্থানীয়রা এই ব্যবস্থা সম্পর্কে আশাবাদী, সন্তুষ্ট প্রকাশ ও বিচার কার্যক্রমের প্রশংসা করছেন বিচারপ্রার্থীরা।
রবিবার সরেজমিনে দেখা যায়, ‘শীলকূপের মনকিচর ও সরলের কাহারঘোনা গ্রামের মো. কাশেম ও শাহাব উদ্দীনের মধ্যে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত দীর্ঘদিনের জটলা নিষ্পত্তি করনে গ্রাম আদালত পরিচালিত হচ্ছে। এতে উভয়পক্ষ বিচারের রায় পেয়ে সন্তুোষ্ট প্রকাশ করেন। জানা যায়, সপ্তাহের প্রতি রবিবার ও বৃহস্পতিবার এখানে গ্রাম আদালত বসে। এ দু’দিনেই বিচারপ্রার্থীদের ভিড় জমে।
বিভিন্ন পারিবারিক বিরোধ, জমি-জমা সংক্রান্ত সমস্যা, দেনাপাওনার মত সাধারণ বিরোধগুলো গ্রাম আদালতের মাধ্যমে দ্রুত ও কম খরচে নিষ্পত্তি হওয়ায় গ্রামবাসীর মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
বিচারপ্রার্থীদের কয়েকজন জানান, “আমরা স্থানীয়ভাবে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধে ছিলাম। আদালতে গেলে সময় ও টাকা দুইটাই নষ্ট হতো। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদে আসার পর ২০ টাকায় ফরম পূরণ করে মামলা করেছি। খুব দ্রুত বিচার পেয়েছি, আমরা খুবই খুশি।”
শীলকূপ ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রাশেদ নুরী বলেন, “আমরা জনগণের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকারকে গুরুত্ব দিয়ে দেখি। গ্রাম আদালতের মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় বিচার পৌঁছে দিচ্ছি, এতে করে সময়, টাকা ও ভোগান্তি-তিনটিই কমে এসেছে। আমি পরিষদের দায়িত্বগ্রহণের পর থেকে ২ শতাধিক গ্রাম আদালত পরিচালনা করতে সক্ষম হয়েছি। এবং এটি চলমান থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, “ইউনিয়নের সচেতনতা বাড়াতে আমরা নিয়মিত প্রচার কার্যক্রম চালাচ্ছি, যেন সবাই জানে কীভাবে সহজেই গ্রাম আদালতের সুবিধা নিতে পারে।”
রবিবার সকালে গ্রাম আদালত পরিচালনাকালে এ সময় পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ নুরী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা অরুণ জয় ধর, ইউপি সদস্য জান্নাতুল ফেরদৌস লাকি, জান্নাতুল ফেরদৌস, নুসরাত আলম, ফিরোজ সিকদার, কফিল উদ্দিন, মিজানুর রহমান সিকদার, মো. ইউনূস, মো. ইউছুফসহ পরিষদের চৌকিদার দফাদারবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতায় পরিচালিত গ্রাম আদালত প্রকল্প এখন গ্রামীণ জনগণের কাছে একটি আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে। মামলার জট কমানো এবং প্রাথমিক স্তরে বিরোধ মীমাংসার এ প্রয়াসকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।