শিব্বির আহমদ রানা: হুফফাজুল কুরআন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, বাঁশখালী উপজেলা শাখার সভাপতি ও বরেণ্য হাফেজ মাওলানা আবদুল্লাহ্ (৪৯) ইন্তেকাল করেছেন ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন’। শনিবার দিবাগত রাত ৩টা ২০ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে, তিন কন্যাসহ বহু আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে যান।
দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন তিনি। হঠাৎ ডায়াবেটিস বেড়ে গেলে নাক ও মুখ দিয়ে ফেনা উঠতে শুরু করে। তাৎক্ষণিকভাবে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন তাঁর ভাগিনা মো. ওমর ফারুক।
হাফেজ আব্দুল্লাহ্ বাঁশখালী উপজেলার সরল ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব মিনজিরিতলা আমির মুহাম্মদ তালুকদার বাড়ি (আইম্মার পাড়া) এলাকার বাসিন্দা এবং মরহুম মাওলানা হাফেজ আহমদ-এর পুত্র।
তিনি ছিলেন একজন দক্ষ ও সুনামধন্য আলেম, শিক্ষক এবং হাফেজে কোরআনের শিক্ষক। তিনি চট্টগ্রামস্থ সেগুনবাগান মাদরাসার সাবেক শিক্ষক, জলদী মিয়ার বাজার নুরুল কোরআন হেফজ মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক এবং ভাদালিয়া দারুল উলুম হামিউছসুন্নাহ মাদরাসার হেফজ বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান ছিলেন। তাঁর হাত ধরে বহু হাফেজে কোরআন তৈরি হয়েছে।
তিনি শুধু একজন শিক্ষক নন, ছিলেন একজন আদর্শ সমাজ সংস্কারকও। তাঁর মৃত্যুতে বাঁশখালীসহ চট্টগ্রামজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সামাজিক, ধর্মীয় সংগঠন, বিভিন্ন মাদরাসার শিক্ষক, আলেম-ওলামা ও সর্বস্তরের মানুষ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
আজ রোববার (৬ জুলাই) বিকেল ৩টায় জানাযার নামায তাঁর পূর্বের কর্মস্থল ভাদালিয়া দারুল উলুম হামিউচ্ছুন্নাহ (ভাদালিয়া বড় মাদরাসা) প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে। পরে তাঁকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।