
বাঁশখালী সংলাপ::: চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী আচরণবিধি অনুসরণের অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন জামায়াত ইসলামী সমর্থিত প্রার্থী অধ্যক্ষ জহিরুল ইসলাম। তফসিল ঘোষণার পরপরই তিনি নিজে মাঠে নেমে নিজের ব্যানার-পোস্টার অপসারণের উদ্যোগ নেন এবং আইনসম্মত নির্বাচনী পরিবেশ বজায় রাখতে নির্ধারিত সমাবেশও স্থগিত ঘোষণা করেন।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল থেকে উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন অলি-গলি, বাজার ও প্রধান সড়কে ঘুরে ঘুরে নিজের প্রচারণামূলক পোস্টার, ব্যানার ও বিলবোর্ড সরিয়ে ফেলতে দেখা যায় তাঁকে। তাঁর এই উদ্যোগে উদ্বুদ্ধ হয়ে কর্মী-সমর্থকরাও উপজেলা জুড়ে ব্যানার, পোস্টার ও বিলবোর্ড অপসারণের কাজ শুরু করেছেন।
অধ্যক্ষ জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে আচরণবিধি মানা সকল প্রার্থীর দায়িত্ব। তাই আমি নিজেই পোস্টার অপসারণে নেমেছি। আমার নেতাকর্মীদেরও নির্দেশ দিয়েছি যাতে তফসিল ঘোষণার পর কোনোভাবেই নিয়ম লঙ্ঘন না হয়।’
নির্বাচনী বিধিমালা যথাযথভাবে অনুসরণ করতে তিনি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল ও তফসিল-পরবর্তী নির্দেশনাকে সম্মান জানিয়ে আগামী ১৩ ডিসেম্বর, শনিবার জলদী হাই স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিতব্য বিশাল যুব-ছাত্র সমাবেশ স্থগিত করেন।
স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা তাঁর এই সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক ও দায়িত্বশীল পদক্ষেপ হিসেবে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁদের মতে, আচরণবিধি মেনে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা অঞ্চলে শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল পরিবেশ বজায় রাখতে সহায়ক হবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও মনে করছেন, প্রার্থীদের এ ধরনের উদ্যোগ ভোটারদের আস্থা বাড়াবে এবং নির্বাচনকে আরও গ্রহণযোগ্য করতে ভূমিকা রাখবে।