1. news@banshkhalisanglap.com : বাঁশখালী সংলাপ : বাঁশখালী সংলাপ
  2. info@www.banshkhalisanglap.com : বাঁশখালী সংলাপ :
শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:৪৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বাঁশখালীতে ঋষিধাম মহারাজের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে অধ্যক্ষ মাওলানা জহিরুল ইসলাম বাঁশখালীতে অগ্নিদুর্গত পাঁচ পরিবারের মাঝে জামায়াতের অর্থ সহায়তা চাম্বল খাদিজাতুল কোবরা মহিলা দাখিল মাদরাসার এডহক কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ইসমাইল “শীলকূপ” শাহ আমিনিয়া সড়ক সংস্কার চাই বাঁশখালীতে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত গোপনীয়তার দেয়াল ভেঙে সহিংসতার মঞ্চে ফেসবুক স্বর্ণের প্রলোভনে প্রতারণার ফাঁদে ‘আবদুছ সবুর’ এর গল্প মাধ্যমিকে স্কুল পর্যায়ে রফিকুল ইসলাম গুণী শিক্ষক হিসেবে নির্বাচিত মাদরাসা পর্যায়ে বাঁশখালীর গুণী শিক্ষক নির্বাচিত হলেন মুহাম্মদ মোশাররফ হোসাইন ওয়াশরুমে আটকা পড়া স্কুলছাত্রীকে বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার অভিযান

‘ভিলেজ পলিটিক্স’ নোংরামির সাতকাহন!

  • প্রকাশিত: রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫
  • ১০২ বার পড়া হয়েছে

গ্রাম্য রাজনীতি আর পরকীয়ার চরিত্রের মাঝে বিস্তর সাদৃশ্য। যেভাবে পরকীয়ায় সম্পর্কের নামে ঘটে চরিত্রহনন, ঠিক তেমনই গ্রামীণ রাজনীতিতে আদর্শের নামে চলে অসাধুতা, প্রতিহিংসা আর নোংরামি।আজকের গ্রাম্য রাজনীতি যেন নীতিহীন কিছু মানুষের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে।

এখানে নেই রাজনৈতিক দর্শন, নেই আদর্শচর্চা। শুদ্ধ রাজনীতির বদলে রাজনীতির নামে চলে ব্যক্তি আক্রমণ, চরিত্র হননের প্রতিযোগিতা। উঠতি কিছু ‘ছবিবাজ’ তরুণ এবং ‘ভারসম্যহীন নেতা’র আবির্ভাবে রাজনীতি আজ শুধুই বাহারি ব্যানার-পোস্টারে সীমাবদ্ধ। যে দল বা মতকে তারা অনুসরণ করে, তাদের গঠনতন্ত্র, আদর্শ বা রাজনৈতিক নীতিমালা সম্পর্কে কোনো ধারণা তাদের নেই। এরা কেবল ছবি তুলে, পোস্ট শেয়ার করে নিজেদের ‘নেতা’ প্রমাণ করতে ব্যস্ত।

ছবির রাজনীতি। আজ গ্রামে রাজনীতির সবচেয়ে আলোচিত মাধ্যম—ছবি। কে কার পাশে দাঁড়িয়েছিল, কে কার সঙ্গে বসেছিল, কোন অনুষ্ঠানে কার সঙ্গে কার ছবি উঠেছে—এসব নিয়েই চলে চুলছেঁরা বিশ্লেষণ। ধর্মীয় অনুষ্ঠান, বিয়ে, জানাজা বা সামাজিক প্রোগ্রামে কারো উপস্থিতি এখন রাজনীতির ‘ক্রাইম সিন’। একটি নিরীহ ছবি থেকেও তৈরি করা হয় ষড়যন্ত্রের গল্প—কে রাজাকার, কে দালাল, কে দোসর ‘অপর পক্ষ’—এসব তকমা দিতে বসে যায় ছবিবাজ বিশ্লেষকরা।

ছবির পেছনে আদর্শ বা প্রেক্ষাপট বিবেচনা করার মানসিকতা নেই এই অপরাজনীতির হোতাদের। এরা ছবি বাণিজ্য করে আলোচনায় আসতে চায়, অথচ নিজেদের কোন রাজনৈতিক নৈতিকতা বা সামাজিক দায়বদ্ধতা নেই।

গ্রামের মানুষ মানে পরিবার, সমাজ, পাড়া-প্রতিবেশী মিলেমিশে এক আত্মীয়তাসূত্র। রাজনীতি হওয়া উচিত সেই ঐক্য ও কল্যাণকে ঘিরে। কিন্তু বর্তমান গ্রামীণ রাজনীতিতে যারা হঠাৎ করে নেতা হয়ে ওঠে, তাদের উদ্দেশ্য শুধুই বিভাজন সৃষ্টি করা। তারা ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানেও ঢুকে পড়ে বিভাজনের বিষ। কে কার পাশে দাঁড়িয়েছে, সেটাকেই বানিয়ে ফেলে রাজনৈতিক অস্ত্র।

সমাধান কোথায়? যতদিন না আমরা আদর্শকে রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে আনতে পারছি, ততদিন এই ভিলেজ পলিটিক্স এক ভয়াবহ সামাজিক সমস্যায় পরিণত হবে। মাঠের কর্মী আর ব্যানারের কর্মীর পার্থক্য না করতে পারলে, নেতৃত্ব আসবে ভ্রান্ত হাতের দখলে।

ছবির ফ্ল্যাশ নয়, আদর্শের আলোয় নেতৃত্ব বাছুন। কে কোন সময় কোথায় ছিল, কার সঙ্গে ছবি তুলেছে তা নয়—দেখুন, তার অবস্থান কী? চিন্তাধারা কী? নৈতিকতা কোথায়?

 

লেখক- শিব্বির আহমদ রানা

সমাজকর্মী ও গণমাধ্যমকর্মী

ই-মেইল: shibbirahmed90@gmail.com

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট