
নিজস্ব সংবাদদাতা:: বাঁশখালী উপজেলার পুঁইছড়ি ইউনিয়নে ধানক্ষেত থেকে পরিচয়হীন অবস্থায় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন গুজব ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ ও স্থানীয়দের সহায়তায় মরদেহের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়। নিহত যুবকের নাম মো. জোবায়ের বিন জামাল (২০)। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ও মৃগীরোগে (এপিলেপসি) আক্রান্ত ছিলেন বলে জানিয়েছে তার পরিবার।
সোমবার (২০ অক্টোবর) সকাল আনুমানিক ৭টার দিকে পুঁইছড়ি ইউনিয়নের প্রেম বাজারের পূর্বে মিয়া মার্কেটের আগের ধানক্ষেতে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকা জোবায়েরকে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে বিষয়টি ফেসবুকে প্রচার করেন। খবর পেয়ে বাঁশখালী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতের বাড়ি একই ইউনিয়নের নাপোড়া পূর্ব চালিয়া পাড়া ৭ নম্বর ওয়ার্ডে। তিনি আহমদ্যা বাপেরবাড়ির মো. জামাল হোসেনের ছেলে।
নিহতের পিতা জামাল হোসেন বলেন, ‘আমার ছেলে জোবায়ের ব্রেইন প্রতিবন্ধী ও মৃগীরোগী। সে প্রায়ই হঠাৎ বাড়ি থেকে বের হয়ে যেত এবং অনেক সময় রাতে বাড়ি ফিরত না। গতকাল (রবিবার) বিকেল থেকে তাকে খুঁজে পাইনি। সন্ধ্যায় মাইকিং করি, ফেসবুকেও পোস্ট যায়। সকালে স্থানীয়রা ফোন দিয়ে জানায়- মৃত অবস্থায় ধান ক্ষেতে পড়ে আছে। সম্ভবত খিঁচুনি উঠায় মারা গেছে।’
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পাওয়ার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। প্রাথমিকভাবে এটি স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবেই মনে হচ্ছে। মৃত যুবক মানসিক প্রতিবন্ধী এবং সরকারি ভাতা কার্ডধারী ছিলেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।’
চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের মতে, এপিলেপসি বা মৃগীরোগীদের খিঁচুনির সময় জ্ঞান হারানোর ঝুঁকি থাকে। খোলা মাঠ, রাস্তা কিংবা পানির ধারে খিঁচুনিতে পড়ে গেলে অনেক সময় তা জীবনঘাতী পরিস্থিতিতে রূপ নেয়। বিশেষ করে ৫ মিনিটের বেশি সময় ধরে খিঁচুনি চললে (স্ট্যাটাস এপিলেপটিকাস) মৃত্যু ঝুঁকি বেড়ে যায়।