
নিজস্ব প্রতিবেদক:: চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার সরল ইউনিয়নের পশ্চিম কাহারঘোনা ৪নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রাওশনিয়া তালিমুল কোরআন মাদরাসা, হেফজখানা ও এতিমখানা বর্তমানে তীব্র সুপেয় পানির সংকটে ভুগছে। প্রায় চার মাস ধরে প্রতিষ্ঠানটির মোটরচালিত ডীপ নলকূপটি অকেজো হয়ে পড়ায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও আশপাশের শতাধিক পরিবার চরম ভোগান্তিতে রয়েছে।
মাদরাসা সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ২০ বছর আগে একটি বিদেশি সংস্থার অনুদানে ডীপ নলকূপটি স্থাপন করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে মাদরাসা, আশপাশের পরিবার ও নিকটবর্তী শুটকি কিল্লার প্রায় দেড়শ শ্রমিক এ নলকূপের পানির উপর নির্ভরশীল ছিলেন। সম্প্রতি পানির লেয়ার নিচে নেমে যাওয়া ও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে নলকূপটি সম্পূর্ণরূপে অচল হয়ে যায়।
বর্তমানে মাদরাসাটিতে প্রথম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান হয়, যেখানে চার শতাধিক ছাত্রছাত্রী অধ্যয়নরত। পানির অভাবে তাদের পড়াশোনা ও দৈনন্দিন কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
মাদরাসা পরিচালক মাওলানা নুর হোসাইন বলেন, ‘আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সুপেয় পানির তীব্র কষ্টে পড়তে হচ্ছে। সমাজের দানশীল ও বিত্তবানরা এগিয়ে এলে নতুন ডীপ নলকূপ স্থাপন সম্ভব হবে। এতে মাদরাসা ও আশপাশের শতাধিক পরিবার উপকৃত হবে।’
পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মাস্টার আজগর হোসাইন বলেন, ‘এই এলাকায় বিকল্প কোনো নলকূপ নেই। শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও শ্রমজীবী মানুষ সবাই চরম কষ্টে আছেন। দ্রুত একটি নতুন ডীপ স্থাপন এখন অতীব প্রয়োজন।
মাদরাসার শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বললে তারা জানায়, ‘আমাদের প্রতিদিন দূর থেকে পানি আনতে হয়। গরমে তৃষ্ণায় খুব কষ্ট হয়। যদি নলকূপটা ঠিক হয়ে যেত, তাহলে সবাই স্বস্তি পেতাম।’
শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর দাবি- দসরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগে দ্রুত একটি নতুন ডীপ নলকূপ স্থাপন করা হোক, যাতে সুপেয় পানির অভাব ঘুচে যায় এবং শিক্ষার্থীরা নিরাপদ পরিবেশে তাদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে।