শিব্বির আহমদ রানা: চট্টগ্রামের বাঁশখালী পৌরসভার জলদি মিয়ার বাজার থেকে হারুন বাজার পর্যন্ত অভ্যন্তরিণ সড়কটি উপজেলার অন্যতম ব্যস্ততম সড়ক। উপজেলার প্রধান সড়কের সাথে সংযোগ এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে সরল, উত্তর গন্ডামারা, দক্ষিণ কাথরিয়ার লোকজন। প্রতিদিন প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ ও শতাধিক সিএনজি চালিত যানবাহন ও মালবাহী গাড়ি এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে। কিন্তু প্রায় ১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন এই সড়কের কাজ শেষ না হওয়ায় কয়েক হাজার মানুষ পড়েছে চরম ভোগান্তিতে।
জানা যায়, প্রায় ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়কের কাজ শুরু হয় ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারির শুরুতে। প্রকল্পে আরসিসি ঢালাই, ১.২৫ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ, ৪টি কালভার্ট, ৪শ মিটার প্যালাসিটিং, ৩শ মিটার রিটেইনিং ওয়াল, ১০৪টি বৈদ্যুতিক লাইট স্থাপনসহ নানামুখী উন্নয়নকাজের পরিকল্পনা রয়েছে। ইতোমধ্যে ৭০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হলেও সড়কের মাঝেই থাকা ছয়টি বিদ্যুতের খুঁটি না সরায় বাকি কাজ বন্ধ হয়ে আছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে সড়কের কাজ অসম্পূর্ণ থাকায় দুর্ভোগ বাড়ছে। বর্ষার সময় খানাখন্দে পানি জমে চলাচল আরও বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে। বর্তমানে সড়কের যোগাযোগ কার্যত বন্ধ হয়ে পড়ায় বিকল্প পথে অতিরিক্ত দূরত্ব অতিক্রম করতে হচ্ছে।
বাঁশখালী পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জামশেদুল আলম বলেন, “টেন্ডার অনুমোদনের পর ৭ থেকে ৮ মাস কাজ চলমান ছিল। এরই মধ্যে আরসিসি ঢালাই, ড্রেন নির্মাণসহ অধিকাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বৃষ্টির কারনে মাঝখানে কাজ বন্ধ ছিল। তবে প্রায় ৪শ মিটার সড়কের কাজ বিদ্যুতের খুঁটির কারণে অসম্পূর্ণ রয়েছে। খুঁটি সরানো হলে প্রকল্পের বাকি কাজ দ্রুতই শেষ হবে।”
এ বিষয়ে বাঁশখালী পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম মো. আতিকুর রহমান বলেন, “সড়কের ওপর থাকা ছয়টি খুঁটি সরানোর জন্য পৌরসভা আবেদন করেছে। আমি স্টিমিট তৈরি করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি। আজও পটিয়া অফিসের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষ হলেই খুঁটি স্থানান্তরের কাজ শুরু হবে।”
এলাকাবাসীর দাবি—দ্রুত বিদ্যুতের খুঁটি অপসারণ করে উন্নয়নকাজ শেষ করলে বহু মানুষের দীর্ঘদিনের ভোগান্তির অবসান হবে।