1. news@banshkhalisanglap.com : বাঁশখালী সংলাপ : বাঁশখালী সংলাপ
  2. info@www.banshkhalisanglap.com : বাঁশখালী সংলাপ :
শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:৫২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বাঁশখালীতে ঋষিধাম মহারাজের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে অধ্যক্ষ মাওলানা জহিরুল ইসলাম বাঁশখালীতে অগ্নিদুর্গত পাঁচ পরিবারের মাঝে জামায়াতের অর্থ সহায়তা চাম্বল খাদিজাতুল কোবরা মহিলা দাখিল মাদরাসার এডহক কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ইসমাইল “শীলকূপ” শাহ আমিনিয়া সড়ক সংস্কার চাই বাঁশখালীতে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত গোপনীয়তার দেয়াল ভেঙে সহিংসতার মঞ্চে ফেসবুক স্বর্ণের প্রলোভনে প্রতারণার ফাঁদে ‘আবদুছ সবুর’ এর গল্প মাধ্যমিকে স্কুল পর্যায়ে রফিকুল ইসলাম গুণী শিক্ষক হিসেবে নির্বাচিত মাদরাসা পর্যায়ে বাঁশখালীর গুণী শিক্ষক নির্বাচিত হলেন মুহাম্মদ মোশাররফ হোসাইন ওয়াশরুমে আটকা পড়া স্কুলছাত্রীকে বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার অভিযান

‘নিশ্চিত গন্তব্যের অনিশ্চিত যাত্রা’ বিমানের অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা ও সচেতনতা

  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই, ২০২৫
  • ৮২ বার পড়া হয়েছে

বায়ুকে ভর করে আকাশে ভেসে চলা যান্ত্রিক এক বিস্ময়ের নাম “বিমান”। মানুষের যাতায়াতকে দ্রুত, আরামদায়ক ও নিরাপদ করে তুলতে এর গুরুত্ব অপরিসীম। বৈমানিকের দক্ষ নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত এ যন্ত্র আধুনিক যোগাযোগের অন্যতম প্রধান মাধ্যম হয়ে উঠেছে। শুধু যাত্রী পরিবহন নয়, বিমান ব্যবহৃত হচ্ছে সামরিক, বাণিজ্যিক, গবেষণা, উদ্ধার তৎপরতা, চিত্রধারণ, মহাকাশ অনুশীলন এমনকি চলচ্চিত্র নির্মাণেও।

পাইলট প্রশিক্ষণ ও দক্ষতার দিক থেকেও বিমান পরিচালনা একটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর কাজ। লাইসেন্সপ্রাপ্ত PPL বা CPL পাইলটের পাশাপাশি কো-পাইলট, ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার এবং গ্রাউন্ড কন্ট্রোল সংশ্লিষ্ট সকলেই একত্রে বিমান চালনায় অংশ নিয়ে থাকেন। বিমান চলাচলের বিভিন্ন ধাপ—যেমন ট্যাক্সি, টেক-অফ, ক্লাইম্ব, ক্রুজ, ডিসেন্ট, ল্যান্ডিং—এসব সবই ঘটে সুনির্দিষ্ট নিয়ন্ত্রণ ও নির্দেশনার মাধ্যমে। এ নিয়ন্ত্রণের মূল কেন্দ্র হলো এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (ATC), যা প্রতিটি বিমানের চলাচল নজরে রাখে এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেয়।

তবে এত উন্নত প্রযুক্তি, নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও মানবসম্পদের উপস্থিতি থাকা সত্ত্বেও বিমান দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না সবসময়। সাম্প্রতিক এয়ার ইন্ডিয়ার দুর্ঘটনার মতো কিছু মর্মান্তিক ঘটনা আবারও এ বাস্তবতাকে সামনে এনে দিয়েছে। অনেক সময় একটি দুর্ঘটনায় বিমানের সব যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে-যা যাত্রীদের মধ্যে গভীর উৎকণ্ঠা, ভয় ও অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করে।

বিমান দুর্ঘটনার পেছনে মূলত কিছু নির্দিষ্ট কারণ কাজ করে-যেমন যান্ত্রিক ত্রুটি, পাইলটের ভুল সিদ্ধান্ত, খারাপ আবহাওয়া, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের গাফিলতি, রানওয়ের সমস্যা, নিরাপত্তা সংক্রান্ত নাশকতা, রক্ষণাবেক্ষণের অবহেলা কিংবা পাইলটের শারীরিক-মানসিক অক্ষমতা। এসব যে কোনো একটি কারণ পুরো বিমানের নিয়ন্ত্রণ ব্যাহত করে দিতে পারে।

এই অনিশ্চয়তা ও আতঙ্ক কাটিয়ে উঠতে হলে প্রয়োজন সচেতনতা ও সমন্বিত উদ্যোগ। প্রথমত, বিমানের রক্ষণাবেক্ষণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। পাইলট ও ক্রুদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ, মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা যাচাই, ATC ব্যবস্থার উন্নয়ন, উন্নত আবহাওয়া পূর্বাভাস ব্যবস্থা, ব্ল্যাকবক্স ও ফ্লাইট ডেটা বিশ্লেষণের মাধ্যমে ত্রুটি চিহ্নিতকরণ—এসব পদক্ষেপ নিতে হবে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে। একইসাথে নিরাপত্তা নীতিমালা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন ও যাত্রীদের সচেতনতাও বাড়াতে হবে।

প্রযুক্তি ও মানবসম্পদের সঠিক ব্যবস্থাপনা এবং প্রশাসনিক দক্ষতার মাধ্যমে আমরা চাইলে বিমান দুর্ঘটনার হার অনেকাংশে কমিয়ে আনতে পারি। তাহলেই একদিন হয়তো “নিশ্চিত গন্তব্য” হয়ে উঠবে সত্যিকার অর্থে “নির্ভরযোগ্য”।

✍️ তৌহিদ-উল বারী
তরুণ লেখক ও কলামিস্ট

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট