শিব্বির আহমদ রানা: ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ‘শীলকূপ ইউনিয়ন পরিষদ হতে মনছুরিয়া বাজার’ পর্যন্ত সড়কটির উন্নয়ন কাজ শুরু হয়েছিল প্রায় এক বছর দুই মাস আগে। তবে দীর্ঘ সময় পার হলেও এখনও শেষ হয়নি কাজ। এতে করে প্রতিদিন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ হাজার স্থানীয় মানুষকে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) বাঁশখালী উপজেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ অর্থবছরে প্রায় ৮৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ২১ শত ফুট কাঁচা সড়কের কার্পেটিং ও তিনটি কালভার্ট নির্মাণের জন্য কাজটি দেওয়া হয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এম.কে আর এন্টারপ্রাইজ-কে। নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ে।
তবে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের দুই পাশে মাটি খুঁড়ে ফেলা হলেও এখন পর্যন্ত রোলিং করা হয়নি। সড়কে রাখা হয়েছে ছাঁদ ভাঙা বড় বড় কংক্রিটের টুকরা, যা চলাচলে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। বর্ষাকালে পানি জমে সড়কটি একেবারে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। বিশেষ করে স্কুল-মাদ্রাসার কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
বাঁশখালী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক বলেন, “সড়কটির নির্মাণ কাজের ধীরগতির কারণে আমাদের স্কুলের শিক্ষার্থীরা দুর্ভোগে পড়েছে। বর্ষার সময় সড়কে হাঁটাচলা করাই কঠিন হয়ে পড়ে। আমরা চাই দ্রুততার সঙ্গে কাজটি সম্পন্ন করা হোক।”
শীলকূপ ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রাশেদ নুরী বলেন, “এক বছর পেরিয়ে গেলেও কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। রোলিং ছাড়াই সড়কে ছাঁদ ভাঙা নিম্নমানের কংক্রিট ফেলা হয়েছে। বিষয়টি উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভায় জানানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন।”
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক মো. মুহিব্বুল্লাহ বলেন, “বর্ষাকালে কার্পেটিং কাজ করা সম্ভব নয়। এ সড়কে তিনটি কালভার্ট নির্মাণের কাজও রয়েছে। বর্ষা শেষে পুরোদমে কাজ শুরু হবে। তবে এক সপ্তাহের মধ্যেই সড়কে রাখা কংক্রিট রোলিং করে চলাচলের উপযোগী করে দেওয়া হবে।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী কাজী ফাহাদ বিন মাহমুদ-এর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘ সময় ধরে কাজ ঝুলে থাকায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তারা। অনতিবিলম্বে সড়কটির কাজ দ্রুত শেষ করে চলাচলের উপযোগী করার দাবি জানিয়েছেন তারা।