সংলাপ প্রতিনিধি::
চট্টগ্রাম নগরীতে অভিযান পরিচালনা করে বাঁশখালী আত্মগোপনে থাকা তাঁতিলীগের সাবেক সভাপতি ও যুবলীগের আহ্বায়ক সদস্য একাধিক মামলার আসামি বৈলছড়ী ইউনিয়নের ত্রাস মনসুর আলম কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম।
বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) অভিযান চালিয়ে নগরির কোতোয়ালী থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেফতার মনসুর আলম বৈলছড়ি ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার রফিক আহমদের পুত্র।
র্যাব জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে ছাত্র-জনতার উপর গুলিবর্ষণ এবং হত্যা চেষ্টা মামলার এ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হলে পরে তাকে বিজ্ঞ আদালত জেলহাজতে প্রেরণ করেন।
জানা গেছে, মনসুর আলম আওয়ামী লীগ স্বৈরাচার সরকারের আমলে দীর্ঘ সাড়ে ১৬ বছর যাবত তার বাহিনী দিয়ে বিভিন্ন অসহায় পরিবারের জায়গা জবরদখল, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও মিথ্যা মামলা-হামলা করে এলাকার নিরিহ মানুষের উপর নানা জুলুম নির্যাতন করে আসছিল।
কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকালে আন্দোলনরত ছাত্র জনতারা বাঁশখালীতে কোনো ধরনের আন্দোলন কর্মসুচি পালন করতে চাইলে তাদেরকে প্রকাশ্যে হুমকি দেয়ার পর ৪ আগস্ট চাম্বল এলাকায় আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার উপর হামলায় অংশগ্রহণ করেছিল সে। গত ৫ আগস্ট তৎকালীন আওয়ামী সরকার পতনের পর থেকে যুবলীগের এ নেতা আত্মগোপনে চলে যায়।
উল্লেখ্য, যুবলীগ নেতা মনসুর আলমের নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী থাকায় নিরহ মানুষের জায়গা দখল, সরকারি জায়গা দখল, সিএনজি স্টেশন দখল করে চাঁদাবাজি, অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন ও বালু বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা অবৈধ উপার্জন করলেও তার বাহিনীর নির্যাতনের ভয়ে কেউ মুখ খোলতে পারেনি কেউ এমন অভিযোগ রয়েছে। তখনকার সময়ে প্রশাসনও তার ক্ষমতার কাছে ছিলো নির্বিকার।