1. news@banshkhalisanglap.com : বাঁশখালী সংলাপ : বাঁশখালী সংলাপ
  2. info@www.banshkhalisanglap.com : বাঁশখালী সংলাপ :
রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বাঁশখালীতে যৌথ অভিযানে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেফতার ২ বাঁশখালীতে বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে মতবিনিময় সভা ও চেক বিতরণ জাপানভিত্তিক রিসসো কোসেই-কাইয়ের উদ্যোগে বাঁশখালীতে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ সরকারি বেড়িবাঁধ কেটে অবৈধভাবে বসানো নাসি উচ্ছেদ চায় বড়ঘোনাবাসী বাঁশখালীতে অনুষ্ঠিত হলো সৃজন সাংস্কৃতিক সংসদের ৮ম মেধাবৃত্তি পরীক্ষা নির্বাচনী শৃঙ্খলায় উদাহরণ অধ্যক্ষ জহিরুল: নিজেই সরালেন নিজের পোস্টার বাঁশখালীতে ইপসার উদ্যোগে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস পালিত তফসিলের পর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সব নির্বাচনি প্রচারণা সামগ্রী অপসারণের নির্দেশ ১৫ লাখ টাকার ট্রলিং জাল উদ্ধার, বাঁশখালীতে ১৮ জেলে আটক দাঁড়িপাল্লার সমর্থনে বাঁশখালীতে যুব-ছাত্র ও নাগরিক গণসমাবেশের প্রস্তুতি বৈঠক সম্পন্ন

প্রাকৃতিক রোদে শুকানো বাঁশখালীর শুঁটকি দেশজুড়ে জনপ্রিয়

  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৫
  • ১০৬ বার পড়া হয়েছে

শিব্বির আহমদ রানা:: চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপকূলীয় এলাকায় শুঁটকি উৎপাদনের ভরা মৌসুম শুরু হয়েছে। বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী সরল, ছনুয়া, নাপোড়া, শেখেরখীলসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ইতোমধ্যে বিশাল আকারের শুঁটকির মাঁচা তৈরি হয়েছে। প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত শত শত নারী-পুরুষ শ্রমিক মাছ পরিষ্কার, ধোয়া ও মাঁচায় শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। স্থানীয় জেলে, শ্রমিক ও ব্যবসায়ীসহ সহস্রাধিক মানুষের জীবিকা নির্ভর করছে এ শুঁটকি পল্লীগুলোর উপর।

ব্যবসায়ীদের তথ্যমতে, গত সাড়ে তিন মাসে বাঁশখালী থেকেই প্রায় ৭ কোটি টাকার শুঁটকি বিক্রি হয়েছে। এখানকার প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে শুকানো শুঁটকি দেশের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়।

সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার সবচেয়ে বড় শুঁটকি উৎপাদন কেন্দ্র হলো- সরলের কাহারঘোনা জালিয়াখালী নতুন বাজারের উত্তর-পশ্চিম এলাকা, শেখেরখীলের পূর্বাঞ্চলীয় এলাকা।

এ ছাড়া ছনুয়া, গন্ডামারা, পুঁইছড়ি, শীলকূপের মনকিচর, বাহারছড়া, খানখানাবাদ ও জলদকরখালের বিভিন্ন চরেও প্রায় অর্ধশত শুঁটকি মহাল কার্যক্রম পরিচালনা করছে। অনেকেই আবার ঘরোয়াভাবে ক্ষুদ্র পরিসরে শুঁটকির কাজ করছে। স্থানীয় জেলেরা জানান, নিজেদের জন্য ঘরোয়াভাবেও সমুদ্রের মাছ শুকিয়ে শুঁটকি প্রস্তুত করেন তারা। প্রাকৃতিক তাপেই মাছ শুকানো হওয়ায় বাঁশখালীর শুঁটকি স্বাদে অনন্য ও বাজারে চাহিদাসম্পন্ন।

উপজেলার শেখেরখীল, বাংলাবাজার, জালিয়াখালীসহ বিভিন্ন ঘাট থেকে জেলেরা রূপচাঁদা, ছুরি, লইট্টা, ফাইস্যা, তেলাহাঙ্গর, পোহা, পাতামাছসহ নানা প্রজাতির কাঁচা মাছ পাইকারি দরে সংগ্রহ করেন।

নারী শ্রমিকরা প্রথমে মাছ পরিষ্কার করেন এবং পরে পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে বড় বড় বাঁশের মাঁচায় সাজিয়ে দেওয়া হয়। টানা তিন থেকে চার দিনের রোদে এগুলো শক্ত হয়ে বাজারজাতযোগ্য অবস্থায় পৌঁছায়। চিংড়ি, ভোল, মেদসহ আরও অনেক মাছও এখানকার মাচায় প্রক্রিয়াজাত করা হয়। প্রস্তুতকৃত শুঁটকি যাচ্ছে চট্টগ্রাম, খুলনা, সৈয়দপুর, জামালপুরসহ সারা দেশের পাইকারি বাজারে।

সরলের কাহারঘোনা এলাকার শুঁটকি চাষী মোহাম্মদ হারুন জানান, ‘সাড়ে তিন মাসে আমার প্রায় ৭০ লক্ষ টাকার শুঁটকি বিক্রি হয়েছে। শ্রমিকদের মজুরিসহ সব খরচ বাদ দিয়ে এ পর্যন্ত প্রায় পাঁচ লাখ টাকা নীট লাভ হয়েছে। নারী-পুরুষ মিলিয়ে এখানে প্রতিদিন ২৫-৩০ জন শ্রমিক কাজ করেন। পুরুষেরা ৭০০-৮০০ টাকা এবং নারীরা ৫০০ টাকা দৈনিক মজুরি পান।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা প্রায় পাঁচ মাস আগে থেকেই কাজ শুরু করি। সাগরে ৬৫ দিনের মাছ আহরণ নিষেধাজ্ঞা শুরুর আগ পর্যন্ত উৎপাদন চলতে থাকে।’

শুটকি চাষী আলা উদ্দিন, মঞ্জুর, সরওয়ার জানান, ‘আধুনিক পদ্ধতিতে শুঁটকি উৎপাদন করতে পারলে উৎপাদন আরও বাড়ত। শ্রমিকদের কষ্টও কম হতো। সরকারীভাবে ঋণ সহায়তা পেলে আমাদের উৎপাদন ক্ষমতা কয়েকগুণ বৃদ্ধি করা সম্ভব।’

বাঁশখালী সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. তৌসিব উদ্দিন বলেন, ‘বাঁশখালীর শুঁটকি সারাদেশে জনপ্রিয়। এ পেশাকে আধুনিকায়ন করতে সরকার মৎস্যজীবীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও সহায়তা দিচ্ছে।শুঁটকিপল্লীগুলোতে সরেজমিনে গিয়ে তাদের সীমাবদ্ধতা ও প্রয়োজনীয়তা যাচাই করব।’

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট