
বাঁশখালী সংলাপ::: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ কর্তৃক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডাদেশ ঘোষণার পর চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে স্থানীয় জনতার মধ্যে উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়ে। রায় ঘোষণা করায় আনন্দ মিছিল ও বিশাল মেজবান আয়োজন করেছে উপজেলার পুকুরিয়া-চরতীর বিপ্লবী ছাত্র-জনতা।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ প্যানেল রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর বাঁশখালী অঞ্চলের জনসাধারণ স্বস্তি ও উৎসবের পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন।
মঙ্গলবার সকালে পুকুরিয়া ইউনিয়নের বৈলগাঁও চা-বাগান মাঠে আয়োজিত মেজবানে বিপুল সংখ্যক স্থানীয় সাধারণ মানুষ ও ছাত্ররা উপস্থিত ছিলেন। আয়োজকরা একে এক উৎসব বলছেন যা শুধু এক দিনের উদযাপন নয়।
জুলাই যোদ্ধা ফোরকানুল হক বলেন, ‘এই রায় হল দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ন্যায়ের প্রতিফলন। আমরা চাই ভারত থেকে শেখ হাসিনাকে দেশে এনে রায় বাস্তবায়নের ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’
মেজবানে রান্না করা হয়েছে তিন ডেকসি বিরিয়ানি এবং ছিল একটি গরু। এসব ভোজ-সেবা সাধারণ মানুষের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জন্যও ছিল।
অংশগ্রহণকারীরা বলেন, ‘দেশ ও জাতির সংকটে আমরা সর্বদা সাধারণ মানুষের পাশে থেকেছি, ভবিষ্যতেও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান অটুট থাকবে।’ তারা আরও জানান, আয়োজকরা দেশ-বিদেশ থেকে আর্থিক সহায়তা পেয়েছেন এবং সেই সকল পক্ষের প্রতি তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
জুলাই আন্দোলনের সকল আহত ও শহীদ, ২০০৯ সালের পিলখানার শহীদ, ২০১৩ সালের হেফাজত-আন্দোলনের শহীদ এবং গত ষোল বছরে গুম, নির্যাতন ও রাজনৈতিক সহিংসতার শিকার হয়ে যাওয়া শহীদ ও আহতদের স্মরণে এ আয়োজন বলে জানান তারা। তাদের মতে, এই মেজবান শুধু ন্যায়বিচার নয়, একই সঙ্গে সেই সংগ্রামের প্রতীক।
দলমত নির্বিশেষে মেজবানে অংশগ্রহণকারীরা দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নিয়েছেন এবং একে ঐক্য ও সমাজগত প্রতিরোধের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
