রবিবার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওমর সানী আকন-এর নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়। জব্দ করা ড্রেজার দুটি তদন্তের স্বার্থে স্থানীয় ইউপি সদস্য ফরিদ আহমদের জিম্মায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পুকুরিয়া ইউনিয়নের ৬ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তেছছিপাড়া ও কুমারখালী এলাকার শঙ্খ নদীতে দীর্ঘদিন ধরে একটি সিন্ডিকেট অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছিল। এতে নদীর দুই তীরের ফসলি জমি ও বসতবাড়ি হুমকিতে পড়ে এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের জিও ব্যাগগুলো মারাত্মক ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। অবিরাম ড্রেজারের শব্দে এলাকাবাসীর স্বাভাবিক জীবনযাপনও ব্যাহত হচ্ছিল।
অভিযান শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওমর সানী আকন বলেন, ‘বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন দেশের পরিবেশ রক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ভবিষ্যতেও নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নদী, পরিবেশ ও জনস্বার্থ রক্ষা আমাদের লক্ষ্য। স্থানীয়দের সহযোগিতা বাড়লে এসব অপরাধ বন্ধ করা আরও সহজ হবে।’
অভিযানে ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান, রিদওয়ানুল করিমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।