“শিবিরের অভিযোগ, ছাত্রদলের হামলা│বিএনপি পক্ষ বলছে ‘উস্কানী কথা’ বলায় সংঘর্ষ│এলাকায় বাড়তি পুলিশ মোতায়েন”
নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে দারুল ইসলাহ মাদরাসা সংলগ্ন মসজিদে কুরআন শিক্ষা প্রোগ্রামকে কেন্দ্র করে ছাত্রশিবির ও ছাত্রদল কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শুরু হওয়া এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন।
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, চট্টগ্রাম জেলা পশ্চিমের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়—পবিত্র কুরআন শিক্ষার জন্য আয়োজিত প্রোগ্রামে ছাত্রদল কর্মীরা প্রবেশ করে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এতে কয়েকজন গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল ও স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনটির জেলা পশ্চিমের সভাপতি আবদুর রহিম ও সেক্রেটারি ফরমানুর রহমান জাহিন এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা জানান। তারা হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও মসজিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে চার দফা দাবি উত্থাপন করেন।
বাঁশখালী উত্তর শাখার সেক্রেটারী মো. আজগর হোসাইন বলেন, “প্রথমে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ছাত্রদল নেতা তানভির হাইদার শাকিলের নেতৃত্বে ৪/৫ জন মসজিদে হামলা চালায়। পরে রাত ৮টার দিকে আরও ২০/৩০ জন দলীয় লোকজন লোহার রড, গাছের পাট্টা ও ইটপাটকেল নিয়ে পুনরায় হামলা চালায়। এতে শওকত (২৭) গুরুতর আহত হয়ে চমেক হাসপাতালে ভর্তি হন। রাকিবসহ আরও কয়েকজন স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।”
অন্যদিকে, অভিযোগ অস্বীকার করে বাহারছড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব এবাদুল হক বলেন, “মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে আগে থেকেই বলা ছিল—এখানে কোনো দলীয় প্রোগ্রাম হবে না। কিন্তু শিবির মসজিদে প্রোগ্রাম করে। এ সময় ছাত্রদল কর্মীরা ওইদিকে যাতায়াত করলে শিবিরের ছেলেরা তাদের গালমন্দ করে। এ নিয়ে সংঘর্ষ হয়।”
বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক এসআই নাছির উদ্দিন জানান, “মসজিদে শিবিরের প্রোগ্রামকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়। পরে রাতে মোশাররফ আলী বাজার এলাকায় উভয় পক্ষ পুনরায় জড়ো হয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটায়। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়। পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার খবরটি সঠিক নয়।”
বাঁশখালী থানার ওসি তদন্ত শুধাংশু শেখর হালদার বলেন, “ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।”