শিব্বির আহমদ রানা: কাঠমান্ডু, নেপালে অনুষ্ঠিত দু’দিনব্যাপী হিন্দুকুশ হিমালয় পার্লামেন্টারিয়ানস’ মিট ২০২৫-এ যোগ দিয়েছেন বাঁশখালীর কৃতি সন্তান ও জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ন সদস্য সচিব মীর আরশাদুল হক।
বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলটির নেতৃত্ব দেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। দলে আরও ছিলেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সিপিডির ডিস্টিংগুইশড ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য্য এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির সিনিয়র যুগ্ন সদস্য ডা. তাসনিম জারা।
সম্মেলনে অংশ নেওয়া দেশগুলোর মধ্যে ছিল নেপাল, ভারত, চীন, ভুটান, মিয়ানমার ও পাকিস্তান। আলোচনার মূল বিষয় ছিল আঞ্চলিক সংসদ সদস্যদের মধ্যে সাধারণ বোঝাপড়া, সংলাপ ও সমন্বয় বৃদ্ধি।
এ সময় মীর আরশাদুল হক বলেন, “বাংলাদেশ তিস্তার ন্যায্য পানি পাচ্ছে না। আবার বর্ষায় অতিরিক্ত পানি হঠাৎ ছেড়ে দেওয়ায় সংকট আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে। এ সমস্যা সমাধানে আঞ্চলিক সংসদ সদস্যদের সমন্বয়ে একটি মনিটরিং টিম গঠন করা জরুরি।”
তিনি আরও যোগ করেন, জলবায়ু পরিবর্তন, বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ভারত ও চীনের অবহেলা—অনেক সময় ইচ্ছাকৃতভাবেও দুর্বলতা সৃষ্টি করছে। তাছাড়া, নেপাল থেকে যদি আমরা স্বল্প দামে জলবিদ্যুৎ কিনতে পারি তাহলে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে যেতে হবে না বাংলাদেশের, কারণ এটি পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।
সাইডলাইনে বিভিন্ন দেশের সংসদ সদস্য, কূটনীতিক ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় ও সম্পর্ক জোরদারের সুযোগ হয় বাংলাদেশ দলের।
সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের পর তারা চন্দ্রাগিরি হিলস ভ্রমণ করেন এবং পরে বাংলাদেশ দূতাবাসে আয়োজিত জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে ছবি ও গ্রাফিতি প্রদর্শনীতে অংশ নেন।
পুরো সফরে উষ্ণ আতিথেয়তার জন্য মীর আরশাদুল হক আইসিমড টিম ও বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত শফিক আহমেদ এবং ডেপুটি চিফ মো. শোয়েব আবদুল্লাহকে ধন্যবাদ জানান।