বাঁশখালী সংলাপ: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরারুল হক আবিরের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দায়েরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছে এলাকাবাসীসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
বাঁশখালী পৌরসভার উত্তর জলদি ভাদালিয়া এলাকার কবির আহমদ বাদী হয়ে আবরারুল হক আবিরকে ৪ নম্বর আসামি করে মোট ছয়জনকে নামীয় এবং অজ্ঞাত আরও ১০–১২ জনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সিআর মামলা দায়ের করেন।
সহপাঠী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা জানান, আবরারুল হক আবির সততা, ন্যায়পরায়ণতা ও নিষ্ঠার জন্য ছাত্রজীবনে সবসময় প্রশংসিত ছিলেন। ২০১০ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত তিনি স্থানীয় ঐতিহ্যবাহী বায়তুল ইরফান আদর্শ মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেন এবং পরবর্তীতে বিশ্ববরেণ্য আলেম মরহুম আল্লামা সুলতান যওকের প্রতিষ্ঠিত জামিয়া ইসলামিয়া দারুল মা’আরিফ মাদরাসায় উচ্চশিক্ষা লাভ করেন। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এরাবিক ডিপার্টমেন্ট (ইনকিলাব-৫১ ব্যাচ) এ অধ্যয়নরত এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থেকে মানবসেবায় কাজ করে যাচ্ছেন। প্রতিটি বোর্ড পরীক্ষায় তিনি সাফল্য অর্জন করেছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায়ও কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত ৩১ জুলাই এলাকার ‘সাজাপ্রাপ্ত ডাকাত ও অস্ত্র মামলার আসামি’ কবির আহমদ ওরফে কইব্যা ডাকাত তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। সহপাঠী ও এলাকাবাসীর দাবি, মামলাটি সম্পূর্ণ হয়রানিমূলক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
তারা বলেন, একজন মেধাবী ছাত্রের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ তার শিক্ষাজীবন ও ভবিষ্যতের জন্য হুমকিস্বরূপ। তাই দ্রুত তদন্ত করে সত্য উদঘাটন এবং হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানান তারা।
নিজের প্রতিক্রিয়ায় আবরারুল হক আবির বলেন, “পূর্ব শত্রুতার জেরে আমার বিরুদ্ধে হয়রানির উদ্দেশ্যে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত, এলাকায়ও তেমন আসা হয় না। একজন মানুষ কতটা হিংসাপরায়ণ হলে এরকম মিথ্যা মামলা করতে পারে তা আমার বোধগম্য নয়।”