1. news@banshkhalisanglap.com : বাঁশখালী সংলাপ : বাঁশখালী সংলাপ
  2. info@www.banshkhalisanglap.com : বাঁশখালী সংলাপ :
সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৩:১০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বাঁশখালীতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ধর্ষণ মামলার আসামী সহ গ্রেফতার ৪ ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন: আলোকিত সমাজ গঠনে অঙ্গীকার আদর্শ নাগরিক ফোরামের চট্টগ্রাম মহানগর কমিটি গঠিত: সভাপতি রহিম, সম্পাদক আরাফাত বাঁশখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর ওপর হামলা, স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকাসহ সিএনজি ছিনতাই হুফফাজুল কুরআন ফাউন্ডেশন বাঁশখালীর সভাপতি হাফেজ আব্দুল্লাহ্ আর নেই যুব বিভাগের উদ্যোগে বাঁশখালীতে “জুলাই স্মৃতি ফুটবল টুর্ণামেন্ট” এর শুভ উদ্বোধন বাঁশখালী থানার ওসির সাথে উপকূল মানবাধিকার সংস্থার নেতৃবৃন্দের সৌজন্য সাক্ষাৎ বৈলছড়ী যুবদলের উদ্যোগে শহীদ স্মরণ ও ফ্যাসিস্টবিরোধী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ‘ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি’ বাঁশখালী পৌরসভা ৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত বাঁশখালীতে মাত্র ১২০ টাকায় পুলিশের চাকরি পেলেন ১৫ তরুণ

বাঁশখালী ‘আমানা পার্ক’ পর্যটকের নতুন ঠিকানা, নান্দনিকতায় অনন্য

  • প্রকাশিত: শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫
  • ৪৫ বার পড়া হয়েছে

শিব্বির আহমদ রানা::

২০২৫ সালের শুরুর দিকে নতুন আঙ্গিকে সৃজিত বাঁশখালী ‘আমানা পার্ক’ দর্শনার্থীদের এক নতুন ঠিকানায় রুপ নিয়েছে। ব্যক্তিগত উদ্যোগে এ সৃজিত আমানা পার্কটি নান্দনিকতার ছোঁয়ায় যে কারও দৃষ্টি কাড়ে। গত ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা কে কেন্দ্র করে উপজেলার দৃষ্টিনন্দন এ পার্ক পারিবারিক ভ্রমণের অন্যতম পর্যটন স্পট হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ব্যাপক সাড়া ফেলেছে পার্কের সৌন্দর্য্য। প্রতিদিনই পর্যটকদের আনাগোনা দেখার মতো। প্রিয়জনকে নিয়ে নির্মল বাতাসে বাগান বিলাসে একছাতার নিচে বসে গল্প-আড্ডায় মেতে উঠার যেন এক নতুন ঠিকানা ‘আমানা পার্কটি’। বাঁশখালী পৌরসভার উত্তর জলদী ডেইব্বার জুম নামক স্থানে পাহাড়ের পদদেশ ও পাহাড়ি অঞ্চলে এ পার্কের অবস্থান। প্রায় ২০ কানি জায়গা জুড়ে বির্স্তৃত এ আমানা পার্ক। এটি কেবল কৃত্রিমরুপে সজ্জিত পার্কের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। বলা যায় এটি একটি বাগান বাড়ি কিংবা সৃজিত উদ্যান।

পার্কের নামকরণ: উত্তর জলদীর স্থানীয় মুহাম্মদ মুমিনুল ইসলাম এ পার্কের উদ্যোক্তা। ছোট বেলা থেকেই প্রকৃতির প্রতি তার অনন্য টান ছিল। বলা যায় প্রকৃতি প্রেমিক মুমিনুল। বাপ-দাদার মৌরশীসূত্রে প্রাপ্ত খতিয়ানভুক্ত প্রায় ২০ কানি মতো পাহাড়ি জায়গায় নিজের ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে তুলেন আমানা পার্ক। শুরুতেই তিনি সৃজন করেন ফলদ ও বনজ গাছের বাহারি বাগান। কয়েক হাজার ফুল-ফল ও বনজ গাছের বাগান করে বসেন তিনি। এটি দেখতে দূর দূরান্ত থেকে লোকজনের সমাগম ঘটে। প্রতিদিনই লোকজনের সমাগম দেখে তার আগ্রহ জন্মে এটিকে পার্কে রুপ দিবে। আগত দর্শনার্থীরা এখানে ঘুরবে, বসবে। শুরু করেন পার্কের কাজ। মুমিনুলের দাদা আর পিতার মৃত্যুর পর ডেইব্বার জুম নামে পাহাড়ি অঞ্চলের মৌরশীসূত্রে প্রাপ্ত জায়গাটি দেখে শুনে আগলে রাখেন তার মমতাময়ী মা আমানা বেগম। তাই এ পার্কের নাম তার মায়ের নামে নামকরণ করেন ‘আমানা পার্ক’

কী আছে আমানা পার্কে: আমানা পার্কের প্রবেশ পথে আছে সুসজ্জিত একটি প্রধান ফটক বা গেইট। গেইট দিয়ে প্রবেশ করতেই চোখে পড়বে প্রাণির কয়েকটি ভাস্কর্য। পাহাড়ের পাদদেশ হতে চূড়ায় উঠার জন্য রয়েছে কংক্রিটের রঙিন আঁচড়ে সজ্জিত সিঁড়ি। সিঁড়ি বেয়ে উঠতেই চোখে পড়বে হরিণ, বাঘ, জেব্রা, সিংহের ভাস্কর্য। এ কৃত্রিম প্রাণি পার্কটিকে আলাদা সৌন্দর্য্যে রুপ দিয়েছে। পার্কে আসা দর্শনার্থীদের রিফ্রেশের জন্য রয়েছে দু’টি বড় রিফ্রেশমেন্ট কর্ণার। লোহার তৈরি কংক্রিটের উপর দাঁড়িয়ে আছে ৩ থেকে ৪টি নান্দনিক সাজে সজ্জিত ছাতা। স্কুল, কলেজ কিংবা দল-গ্রুপে ভ্রমণে আসা দর্শনার্থীদের পিকনিক করার মতো একটি পিকনিক সেড রয়েছে। রয়েছে লোহার তৈরি দোলনা। প্রিয়জনকে নিয়ে হাতে হাত রেখে বসার জন্য রয়েছে কংক্রিটের তৈরি ১৫ থেকে ২০টি বৈঠকখানা (চেয়ার)। পার্কের ভিতরে রয়েছে ফোস্কা হাউজ নামে অথিতি আপ্যায়নের ব্যবস্থা। আর পুরো পার্কটি রয়েছে সিসি ক্যামরা ধারা নিয়ন্ত্রিত। তাছাড়া পার্কে রয়েছে কমলা, মালটা, আম, জাম, লটকন, আমলকি, পেয়ারা, আমড়া, কাঁঠাল সহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলের গাছ। সৌন্দর্য্য বর্ধক হিসেবে রয়েছে বিভিন্ন রকমের ফুলের গাছ। ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকা বনজ গাছের ছায়াও মনকে প্রশান্তি দেয় এখানে।

সরকারি ছুটির দিনে বিশেষ করে প্রতি শুক্রবার ও বৃহস্পতিবার এখানে দর্শনার্থীদের ভিড় থাকে দেখার মতো। অনেকে তাদের পুরো পরিবারকে নিয়ে ঘুরতে আসে আমানা পার্কে। চির সবুজ আর কৃত্রিমতার সংযোজনে পার্কটি হয়ে উঠেছে নান্দনিক। এখানে ছোট ছোট বাচ্চারা ছুটে বেড়ায় আনন্দ চিত্তে কোলাহলে। লোহার তৈরি দোলনায় ছড়ে মেতে উঠে আনন্দে। কম সময়ে পুরো পার্ক ঘুরে দেখা যায়। এ পার্ক কে ঘিরে ৬/৭ জনের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে মনে করেন বাঁশখালী ইকোপার্কের পরেই এটি বিরোদনের অন্যতম স্পট হিসেবে পর্যটকদের হৃদয়ে পছন্দের জায়গা করে নিবে।

আমানা পার্কের উদ্যোক্তা মুহাম্মদ মুমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের খতিয়ানভুক্ত জায়গায় নিজ অর্থায়নে আমার মায়ের নাম আমানা বেগম’র নামে ‘আমানা পার্ক নামকরণ করেছি। বাঁশখালী পৌরসভা থেকে আমানা পার্কের নামে ট্রেডলাইসেন্স হয়েছে। পার্কের অনেক কাজ এখনও অসমাপ্ত। ইতোমধ্যে প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে পার্কে। শখের বসে গড়া পার্কটি দর্শনার্থীদের যেমন বিনোদন দেয় আমাকে দেয় মানসিক প্রশান্তি।
উদ্যোক্তা হিসেবে উৎসাহিত করবে তা নয় বরং উল্টো কিছু কুচক্রীমহল আমার বিরুদ্ধে লেগে পড়েছে। প্রচার করা হচ্ছে বন দখল করেই পার্ক গড়েছি। পার্কের এ জায়গাটি আমাদের বাপ-দাদার খতিয়ান ভুক্ত জায়গা। আমি আমার নিজ অর্থায়নে কেবলমাত্র ষাট ভাগ কাজ সম্পন্ন করেছি। আশা করছি অসমাপ্ত চল্লিশ ভাগ কাজ আগামী দুই তিন মাসের মধ্যে শেষ করতে পারবো।’

তিনি আরও বলেন, ‘ব্যক্তি উদ্যোগে বিনোদন পার্ক স্থাপন করার জন্য যা যা অনুমতি বা সরকারি নিয়ম রয়েছে তা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে পারবো।’

কিভাবে যাবেন: বাঁশখালী প্রধানসড়কের মিয়ার বাজার চৌ-রাস্তার মোহনা থেকে পূর্ব দিকে সড়ক দিয়ে যেতে হবে আমানা পার্কে। মিয়ার বাজার থেকে সিন্নিপুকুর পাড় হয়ে দেড় কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করলেই আমানা পার্ক। সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা তেমন উন্নত না হওয়ায় বড় কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারে না। সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও মোটর চালিত রিকশায় যাওয়া যায়। জনপ্রতি অটোরিকশা ভাড়া ৩০টাকা করে নেয়। পার্কে প্রবেশ ফিঃ ৩০ টাকা।

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট