চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার পশ্চিম পুইছড়ি আরবশা ঘোনা এলাকা যেন আধুনিকতার ছোঁয়া থেকে একেবারেই বিচ্ছিন্ন। এলাকার বিভিন্ন সড়কের বর্তমান অবস্থা দেখে মনে হয়, কোনো এক ভূলে যাওয়া জনপদ—যেখানে উন্নয়নের আলো আজও পৌঁছায়নি।
অনেক রাস্তায় ইট পর্যন্ত নেই। যেখানে ইট আছে, সেখানেও তা এতটাই ভাঙাচোরা যে ঠিক মতো হাঁটাও কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্ষাকালে কাদা, আর শুষ্ক মৌসুমে ধুলোর রাজত্ব—এই দুইয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ এখানকার মানুষের যাতায়াত।
ছাত্রছাত্রী, দিনমজুর, কৃষক, এমনকি অসুস্থ রোগী নিয়েও চলাফেরা করতে হয় এই কর্দমাক্ত পথে। কোনো অ্যাম্বুলেন্স ঢুকতে পারে না, মোটরসাইকেলও হোঁচট খায়—এ যেন ২০২৫ সালের মাঝে দাঁড়িয়ে কোনো প্রাচীন চিত্র।
দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাগুলোর কোনো সংস্কার হয়নি। এলাকায় ঘুরে মনে হয়েছে, এই রাস্তার কথা কেউ ভাবেনি। এ যেন ‘ভুলে যাওয়া এক গ্রাম’—যেখানে জনস্বার্থে ছোট্ট একটা উদ্যোগই পারে আশার আলো ফিরিয়ে আনতে।
আমি একজন সচেতন তরুণ হিসেবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এখনো সময় আছে—এগিয়ে আসুন, আমরা সবাই চাই আমাদের বাঁশখালীর গ্রামটাও একদিন উন্নয়নের গল্পে জায়গা পাক।
আব্দুর রহিম
শিক্ষার্থী ও লেখক।