সংলাপ প্রতিনিধি::
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার শীলকূপ ইউনিয়নে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটের জন্য ভারাটিয়া সন্ত্রাসী দ্বারা দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে মারামারি, বসতঘরে ভাংচুর, মালামাল লুটপাটসহ গবাদী পশু হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ১০ থেকে ১২ জন।
গত ১৪ মে বিকেল আনুমানিক ৫টার দিকে শীলকূপ ইউনিয়নের মনকিচর গ্রামের ১ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। এর পূর্বে গত ১০ মে একই এলাকার মো. সোলতান আহমদের ছেলে সাকিব কে পার্শ্ববর্তী দিলদার মেস্ত্রীর পুত্র হেফাজ উদ্দিন ও মাহাবুব আলম মারধর করে। পরে রাজনৈতিক ফায়দা লুটের জন্য তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী এনে ঘটনার দিন বিকেলে সোলতান আহমদের বসতঘরে দফায় দফায় হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর, লুটপাট ও মারধর করে।
এ ঘটনায় তাদের তিন লাখ টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ সময় তারা দাবি করেন নগদ টাকা, একটি গবাদী পশু হত্যা, একটি মোবাইল ফোন, স্বর্ণালংকার সহ বেশ কিছু মালামাল লুটপাট করেছে।
এ বিষয়ে একাধিক ভুক্তভোগী উল্লেখ করেন, ২০ থেকে ২৫ জনের একটি সঙ্ঘবদ্ধ দল তাদের উপর হামলা চালিয়ে মারধর করেছে ও বাড়ি ঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত মো. সোলতান আহমদ, মো. ইউসূফ, নেজাম উদ্দিন, আজগর হোসেন, আবুল কাশেম, আব্দুল গফুর, মো. ছগির, দেলোয়ার, হালিমা বেগম কে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। মো. সোলতান আহমদ, আব্দুল গফুর, মো. ছগির ও দেলোয়ার এর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের চমেক প্রেরণ করেন।
সোলতান আহমদ অভিযোগ করে বলেন, ‘আসামী হেফাজ উদ্দিন ও মাহাবুব আলম গং বিভিন্নভাবে আমাদের ভয়ভীতি দিয়ে যাচ্ছে। মামলা করলে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন। এ ঘটনায় আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছি। এ ঘটনায় অভিযুক্ত হেফাজ উদ্দিন ও মাহাবুব আলমের সাথে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বাঁশখালী থানা পুলিশ প্রাথমিক খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি। স্থানীয় একটি পক্ষ দু’পক্ষের সাথে মীমাংসার চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে। ঘটনা নিয়ে উভয়ের মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে।