
বাঁশখালী সংলাপ:: চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল অ্যাকশন (ইপসা)’র উদ্যোগে ‘ভূমিধ্বসের জন্য সেক্টর-নির্দিষ্ট পূর্ব সতর্কীকরণ বার্তা উন্নয়ন’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেভ দ্য চিলড্রেনের সার্বিক সহযোগিতা, রাইমসের কারিগরি সহায়তা এবং জিএফএফও’র আর্থিক সহায়তায় বাস্তবায়িত ‘এ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন’ প্রকল্পের আওতায় বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে উপজেলা পরিষদ হলরুমে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ জামশেদুল আলম।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইপসার প্রকল্প ব্যবস্থাপক সানজিদা আক্তার। মূল সেশন পরিচালনা করেন বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক মো. আব্দুর রহমান খান। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সেভ দ্য চিলড্রেনের সিনিয়র অফিসার আখফারুজ্জামান রুবেল। কর্মশালা সঞ্চালনা করেন উন্নয়ন ও সংবাদকর্মী কল্যাণ বড়ুয়া।
কর্মশালায় আলোচনায় অংশ নেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ওমর সানি আকন, প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুপন কুমার নন্দী, সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. তৌসিব উদ্দিন, একাডেমিক সুপারভাইজার এয়ার মোহাম্মদ, সহকারী কৃষিসম্প্রসারণ কর্মকর্তা সানাউল হক, মুক্তিযোদ্ধা সরওয়ার হোসাইন চৌধুরী, বাণীগ্রাম সাধনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একেএম মঈন উদ্দিন, বৈলছড়ি নজুমুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সনজিত কুমার বড়ুয়া, জলদী অভয়ারণ্য রেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান শেখ, উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তার কার্যালয়ের প্রকৌশলী লিপটন ওম, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার মো. মিজানুর রহমান, কালীপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম, সাধনপুরের প্যানেল চেয়ারম্যান করুনাময় ভট্টাচার্য, পুকুরিয়া ইউনিয়নের মো. আমজাদ হোসেন, সিপিপির প্রশিক্ষক মিঠু কুমার দাশ ও সাংবাদিক শিব্বির আহমদ রানা।
গ্রুপ ওয়ার্ক পরিচালনা করেন রাইমসের মো. আশিকুজ্জামান, ইপসার প্রজেক্ট অফিসার মাহিনুর আক্তার, প্রজেক্ট অফিসার (মনিটরিং) এসএম শাহরিয়ার আলম ও এপিও মুহাম্মদ এনামুল ইসলাম।
বক্তারা বলেন, বাঁশখালীসহ চট্টগ্রাম অঞ্চলে পাহাড়ধস এখন বড় ধরনের দুর্যোগে পরিণত হয়েছে, কিন্তু এখনো কার্যকর জাতীয় প্রোটোকল বা সতর্কীকরণ স্ট্যান্ডার্ড তৈরি হয়নি। এ প্রকল্পের মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে খাতভিত্তিক ঝুঁকি নিরূপণ, আগাম সতর্কীকরণ বার্তা ও ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে কাজ করা সময়োপযোগী এবং ভবিষ্যতে বড় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
কর্মশালায় সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধি, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, স্বেচ্ছাসেবক, পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং উন্নয়নকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।