1. news@banshkhalisanglap.com : বাঁশখালী সংলাপ : বাঁশখালী সংলাপ
  2. info@www.banshkhalisanglap.com : বাঁশখালী সংলাপ :
শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:৪৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বাঁশখালীতে ঋষিধাম মহারাজের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে অধ্যক্ষ মাওলানা জহিরুল ইসলাম বাঁশখালীতে অগ্নিদুর্গত পাঁচ পরিবারের মাঝে জামায়াতের অর্থ সহায়তা চাম্বল খাদিজাতুল কোবরা মহিলা দাখিল মাদরাসার এডহক কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ইসমাইল “শীলকূপ” শাহ আমিনিয়া সড়ক সংস্কার চাই বাঁশখালীতে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত গোপনীয়তার দেয়াল ভেঙে সহিংসতার মঞ্চে ফেসবুক স্বর্ণের প্রলোভনে প্রতারণার ফাঁদে ‘আবদুছ সবুর’ এর গল্প মাধ্যমিকে স্কুল পর্যায়ে রফিকুল ইসলাম গুণী শিক্ষক হিসেবে নির্বাচিত মাদরাসা পর্যায়ে বাঁশখালীর গুণী শিক্ষক নির্বাচিত হলেন মুহাম্মদ মোশাররফ হোসাইন ওয়াশরুমে আটকা পড়া স্কুলছাত্রীকে বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার অভিযান

পেশার মুখোশে দালালি, শব্দের আড়ালে চাঁদাবাজি

  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ১১ জুলাই, ২০২৫
  • ৮৬ বার পড়া হয়েছে

রাষ্ট্রীয় কাঠামোর বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের সামনে জনগণের দীর্ঘ লাইন নয়, বরং পেছনের ছায়াময় লেনদেনই আমাদের অনেক সমস্যা জিইয়ে রাখছে। থানায় যাবে ভিকটিম, ভূমি অফিসে যাবে ক্ষতিগ্রস্তরা-এটাই তো ছিল কাঙ্ক্ষিত চিত্র। কিন্তু বাস্তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, সেবাপ্রার্থী নয়, বরং এক শ্রেণির ‘চেনা মুখ’ অফিসে অফিসে ঘোরাঘুরি করে। কখনো থানা, কখনো ভূমি অফিসে, প্রতিবার ভিন্ন ভিন্ন লোকের সঙ্গে এবং নিয়মিত। এরা কারা?

এরা সেইসব ‘দালাল’, যারা পেশা ও পোশাকের মোড়কে নিজেদের অবৈধ ভূমিকাকে বৈধতার মুখোশ পরিয়ে রাখে। কেউ রাজনৈতিক পরিচয়ে, কেউবা সাংবাদিক পরিচয়ে—দালালির এই অদ্ভুত সংস্কৃতিকে আজ পেশার নামেই বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। অথচ প্রতিটি পেশার একটি সম্মান রয়েছে, নীতি ও আদর্শ রয়েছে, আছে নৈতিক সীমারেখা। একটি আইনি রাষ্ট্রে বৈধ উপায়ে কাজ করতে চাইলে কখনোই দালালের প্রয়োজন পড়ে না। সরাসরি অফিসে গিয়ে সেবা নেওয়ার সাহস এবং অধিকার দুটোই নাগরিকের থাকা উচিত। এবং নাগরিক এ অধিকার রাখে।

‘দালাল’ সংস্কৃতি শুধু সেবাবঞ্চনারই কারণ নয়, এটি প্রশাসনের নীতিনৈতিকতা ও পেশাদারিত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। এর দায় কিন্তু কেবল দালালের নয়—আমাদেরও। আমরা নিজেরাই যদি সরাসরি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সঙ্গে কথা না বলে দালালের দ্বারস্থ হই, তবে এই অনিয়মে আমরাও হয়ে পড়ি অংশীদার।

আরও দুঃখজনক বাস্তবতা হলো, অপসাংবাদিকতার আবরণে এক শ্রেণির মানুষ আজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে বানিয়ে ফেলেছে চাঁদাবাজির প্ল্যাটফর্ম। “দেখছি, বুঝছি”, “থলের বেড়াল বের হচ্ছে”, “মুখোশ খুলে দিচ্ছি”, “সময় করে সব বেরিয়ে আসবে”—এইসব নাটকীয় শব্দে ভরপুর দুই লাইনের পোস্ট দিয়েই শুরু হয় ফাঁদ পাতা। তারপর আসে চাপ, দরকষাকষি, চুপ থাকার মুল্য নির্ধারণ। যখন সাংবাদিকতার মূলনীতি হয়-পাঁচশো টাকায় নিরবতা, আটশো টাকায় নমনীয়তা, আর হাজার টাকায় তর্জন—তখন এর নাম পেশাদার সাংবাদিকতা নয়, এ হলো নিরেট চাঁদাবাজি।

সমাধান একটাই—প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও জনসচেতনতা। আমাদের প্রত্যেকেরই দায়িত্ব, দালালকে না বলা এবং সরাসরি দায়িত্বপ্রাপ্তদের দ্বারস্থ হওয়া। গণমাধ্যমকেও অপসাংবাদিকতার বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে। পেশার মর্যাদা রক্ষা করতে হলে আগে পেশার ভেতরের ভেজালকে চিনে দূর করতে হবে। কার্ডধারী কিছু সংবাদকর্মীকে সরকারী অফিসে ঘনঘন আনাগোনা করতে দেখলেই বুঝা যায়, এরাই সাংবাদিকতার আবরণে নীরেট দালাল। আপাত দৃষ্টিতে সহযোগী মনে হলেও এরা কৌশলভিত্তিক দালাল। এটা রাজনৈতিক অঙ্গণেও দৃশ্যমান। রাজনৈতিক পরিচয়ে, প্রভাব দেখিয়ে অনেকটা দালালের গোচরে কাজ করে। মূলত এরাই নাগরিক সেবা লাভে ও আমলাদের মধ্যে আর্থিক সেতুবন্ধন করে।

সৎ ও সততা আর নৈতিকতা থাকলে তবেই বদলাবে চিত্র, সেবার মুখে আসবে স্বচ্ছতা।

 

লেখক-

শিব্বির আহমদ রানা
(গণমাধ্যমকর্মী)
বাঁশখালী, চট্টগ্রাম।

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট